ঢাবি ফজলুল হক ছাত্রলীগ শাখার মিজান স্মরণসভা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক আবাসিক হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শামসুন্নাহার হলের সামনে মিজান স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যের সামনে শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সমাবেশ করে ঢাবি ছাত্রলীগের ফজলুল হক ইউনিট। সহপাঠী ও বন্ধুদের স্মৃতিচারণে উঠে আসে তার অবদান। এছাড়া ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। 

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘১৯৯১ সালের ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মিজানের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালায়। সেই দিনটি ছিল আমাদের জন্য বেদনাবিধুর। মিজান ছিলেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। তিনি স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগ করতেন। ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে মিজান কখনও আপস করেননি। বিদ্যাপিঠে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। মিজান আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

মিজান স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন

ফজলুল হক আবাসিক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমানের মন্তব্য, ‘সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে রাজনৈতিক অপশক্তি বিএনপির জন্ম, তাদেরই ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে মিজান ভাইদের। আমার ভাইয়ের রক্ত শুকিয়ে যায়নি আজও। বিচার হয়নি খুনি সন্ত্রাসীদের।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফজলুল হক আবাসিক হল ছাত্রলীগ মিজানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

মিজানুর রহমান মিজানের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের ফজলুল হক আবাসিক হল শাখার নেতাকর্মীরা

১৯৬৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মিজানুর রহমান মিজান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ৬৮ ঘণ্টা মৃত্যর সঙ্গে লড়াই করে ৩০ অক্টোবর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।