সাংবাদিক রুনির মায়ের ইন্তেকাল

প্রয়াত সাংবাদিক রুনির মা নুরুন নাহার মির্জা আর নেই। বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি শারীরিক নানা জটিলতা বিশেষ করে কিডনি সমস্যা নিয়ে মাস খানেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সকালেই তার মরদেহ ঢাকার ইন্দিরা রোডের বাসায় নেওয়া হয়েছে।

আজ বাদ জোহর ইন্দিরা রোডের বাসার কাছে পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে সাগর-রুনীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন রুনীর ভাই নওশের আলম।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার পর তাদের একমাত্র সন্তান মেঘকে আগলে রেখেছিলেন তিনিই। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবারও মেঘ একা হয়ে গেলো। মেঘ ছাড়াও মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নওশের জানান, গত ২১ ডিসেম্বর আম্মাকে আয়শা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে সময় আইসিইউতে ছিলেন তিনি। এরপর অবস্থা কিছুটা ভালো হলে কেবিনে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় উনার কিডনির কোনোটিই কাজ করছিল না। এরপর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। ব্লাড দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর আম্মার করোনা পজিটিভ হওয়ার আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ইউনিটের আইসিইতে নিয়ে আসি গত সোমবার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি নৃশংসভাবে খুন হন। ফ্ল্যাটে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।

সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।