অভিবাসী রোজাদারদের একটি বড় অংশ প্রতিদিন ইফতার করেন এসব তাঁবুতে। এদের বেশিরভাগই এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বিশেষ করে ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি, শ্রীলংকান ও নেপালিদের সংখ্যাই বেশি। নিজেদের ক্রয় ক্ষমতা থাকলেও সম্মিলিত ইফতারের বাড়তি আগ্রহ থেকেই অনেকে ছুটে আসেন এসব তাঁবুতে। দূর পরবাসে এসব তাঁবুর ইফতারে অংশ নেওয়াদের মধ্যে তারা পরিবারের সদস্যদের চেহারা খোঁজেন। কোথাও শতাধিক লোকের সমাগম, আবার কোথাও উপস্থিতির সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারে।
আরব আমিরাতে এবারের ইফতার আয়োজনে সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হচ্ছে আবুধাবির শেখ জায়েদ বিন আল নাহিয়ান মসজিদের ইফতার আয়োজনে। সেখানে প্রতিদিন ইফতারে অংশ নেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
পরিবার নিয়ে বসবাস করা নাগরিকদের চিত্র ভিন্ন। তাদের বাসা বাড়িতে থাকে বাহারি ইফতার আয়োজন আবার হোটেল-রেস্তোরাঁয় ইফতারের বিশেষ প্যাকেজ থাকায় সেখানেও ভিড় করেন অনেকে। এসব হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের মেন্যুর প্রথম সারিতেই থাকে এশিয়ান নাগরিকদের পছন্দে ইফতার সামগ্রী। অভিজাত হোটেলের মতো ফুটপাতেও ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রিতারা।
ভিন্নতা আছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও। রমজান এলেই হিড়িক পড়ে ইফতার আয়োজনের। আমিরাতে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক আর জেলা-উপজেলার নামে গঠিত বাংলাদেশি সংগঠন থাকায় প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও হোটেল-রেস্তোরাঁয় হয় ইফতারের আয়োজন। সম্মিলিত এসব ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে রমজান অতিবাহিত করেন প্রবাসীরা। দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে একেকদিন একেক আঙ্গিকে প্রবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন চেহারার মধ্যে খুঁজে ফেরেন স্বজন-পরিবারের সদস্যদের মুখ।