বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

সবুজের সমারোহে পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদ

বিশ্বে গর্ব করার মতো আমাদের আছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। পাশাপাশি স্থাপত্যকলাতেও কোনও অংশে কম ছিল না এ অঞ্চল। আমাদের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত ভ্রমণচারী ও মননশীল মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। প্রথম পর্বে থাকলো পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদের কথা...

দূর থেকেই দেখা যায় দুটি সুদীর্ঘ মিনার। ব্যস্ত রাস্তার পাশে মিনার দুটিই যেন জানান দিচ্ছে-এখানে একটি মসজিদ আছে। কাছে আসতেই চারপাশ জুড়ে সবুজের সমারোহ। এর মাঝেই মসজিদটি। যার চোখ জুড়ানো নির্মাণশৈলী দেখে ক্ষণিকের জন্য থমকে যেতে বাধ্য যেকোনও পথিক।

রাজধানীর মিরপুর আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ড থেকে একটু সামনে এগোলেই পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ। শুরুতে পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের জন্য ছোট একটি জামে মসজিদ ছিল এটি। কুয়েত সরকারের উদ্যোগে বদলে যায় এর কাঠামো। পুনঃনির্মাণে অর্থায়ন করে কুয়েত আওক্বাফ পাবলিক ফাউন্ডেশন (কেএপিএফ)। এরপরই পুরনোটিকে সংস্কার করে বানানো হয় দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি।

এর জন্য ১২ কোটি টাকা দিয়েছিল কেএপিএফ। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান ২০১১ সালে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

বাইরের দেয়াল ঘিয়া রঙের। সেই রঙের ভেতর সোনালী কারুকাজ। সামনে সাজানো বাগান।

পাঁচ বছর লেগেছে মসজিদটির নির্মাণে। পুনরায় চালু হয় ২০১৬ সালের ২৫ মার্চে। প্রায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের মসজিদটির ভেতরে দুই জায়গায় ওজু করার ব্যবস্থা আছে। আছে সুপরিশর শৌচাগার। এ ছাড়া পাঠাগার, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বসার স্থানও আছে।

ভেতরেও রয়েছে নকশার কারুকাজ। সুউচ্চ তুষার শুভ্র পিলারগুলো দেখে মন ভরবে মুসুল্লির। এর জানালার কাচগুলো নীলাভ। প্রবেশদ্বারও বিশাল। মেঝেতে সাদা আর খয়েরি টাইলস।

একসঙ্গে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। নারীদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা আছে। কুয়েতের অর্থায়নে বানানো বলে অনেকেই এটাকে কুয়েতি মসজিদ নামেও চেনে। জুমার দিনে অনেকেই দূর থেকে আসেন এই মসজিদে নামাজ পড়তে। এছড়া চলার পথে অনেকেই থেমে দাড়ান, মসজিদটি দেখতে।