বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

তিন জেলার মোহনায় সুপ্রাচীন মসজিদ

বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুরের  নাম না জানা এক মসজিদ।

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বড় শরীফপুর। এই গ্রামে ১৬৫৭ সালে নির্মিত হয় একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদটি বলতে গেলে আগের মতোই আছে। পৌনে চার শ’ বছরেও এর সৌন্দর্যে চিড় ধরেনি। চুন সুররির নাম না জানা মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমায় পর্যটকরা। অনেকে দূর থেকে আসেন নামাজ পড়তে। তিন জেলার মোহনায় মসজিদটি। এর পাশে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদটির বাইরের দৈর্ঘ্য ১৪.৪৮ মিটার ও প্রস্থ ৫.৯৪ মিটার। উপরে তিনটি গম্বুজ। সেখানে পদ্মফুলের নকশা। মসজিদের সামনের দেওয়ালে ফার্সি শিলালিপি রয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে জনৈক হায়াতে আবদুল করিম মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

হায়াতে আবদুল করিমের পরিচয় নিয়ে দুটি মত রয়েছে। প্রথমটি হলো তিনি নাটেশ্বর নামের এক রাজার কর্মকর্তা ছিলেন। আরেকটি ধারণা, তিনি শাহ সৈয়দ বাগদাদী নামের এক দরবেশের মুরিদ ছিলেন।

comilla shorifpor mosjid (2)মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি মোতাহার হোসেন চৌধুরী বলেন, বড় শরীফপুরের মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই মানুষ আসেন। মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এ মসজিদের ভেতরে বাইরে পাঁচ শতাধিক মানুষ নামাজ পড়তে পারেন।

কুমিল্লাস্থ মনোহরগঞ্জ জনকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলা সদর থেকে মসজিদটি ৪০ কিলোমিটার ও উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। এই মসজিদের একদিকে ডাকাতিয়া নদী, অন্যদিকে নরহ খাল। পেছনে রয়েছে বিশাল নাটেশ্বর দিঘি। অদূরে মাজার শরিফ। এখানে চাইলে একটি পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে তোলা যায় বলে জানান আবুল কালাম আজাদ।

প্রত্মতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, এটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন মসজিদ। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় সংরক্ষিত।

বা