বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে নীলফামারীর আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ী জামে মসজিদ।
কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না মসজিদটি কে ও কবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শনের পাশাপাশি রহস্য হয়েই দাঁড়িয়ে আছে আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ী জামে মসজিদ।
তিন গন্বুজের প্রাচীন মসজিদটিতে আছে ৮টি মিনার। তিন ফুট দৈর্ঘ ও দুই ফুট প্রস্থের তিনটি দরজা আছে। মাঝের দরজার ওপরে পাথরে খোদাই করা আরবি লিপি আছে।
মসজিদের নিয়মিত মুসুল্লি আব্দুল মজিদ (৬৪) বলেন, ফলকটা পড়ে দেখেছি। তাতে আরবি ৬১৬ হিজরি লেখা আছে মনে হয়। একটি নাম কোনওরকম বোঝা যায়-মাহমুদুল্লাহ হাসান। মসজিদের সামনে রয়েছে দুটি কবর। অনেকেই বলে কবর দুটি কোনও এক দম্পতির।
এরপর ওই পীরের কথামতো নিদৃষ্ট স্থানে খনন করে দুটি প্রাচীন কবর পান আসাদুজ্জামান। তখন সেখানে নিজস্ব অর্থায়নে একটি টিনের ঘরের নিচে কবর দুটি বাঁধিয়ে দেন তিনি। মসজিদের শিলালিপি থেকে ধারণা করা হয়, এর একটি কবর মাহমুদুল্ল্যা হাসানের।
২০০১ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি পাকা কক্ষ নির্মাণ করে পুরনো মসজিদের সঙ্গে যুক্ত করে ছয়টি সারি বাড়ানো হয়। এখন সেখানে দেড় শ’ জনের মতো নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদটির বয়স যদি ৮০০ বছরই হয়ে থাকে তবে প্রাচীনতম মুসলিম সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন এটি।