বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে রাজধানীর অ্যারোপ্লেন মসজিদ।
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মসজিদটি নির্মিত হয় ষাটের দশকে। তখন থেকেই লোকে এটাকে অ্যারোপ্লেন মসজিদ কিংবা বিমান মসজিদ বলে ডাকে। ঢাকার প্রায় সবার কাছেই পরিচিত ব্যতিক্রমি মসজিদটি। স্থাপত্যশৈলী নান্দনিক হলেও মূল আকর্ষণ হলো পাঁচতলা এই মসজিদে বসানো অতিকায় এক উড়োজাহাজের মডেল।
বাবার মৃত্যুর পর মো. ইসমাইল নিজেদের প্রায় ৯ কাঠা জমির ওপর ১৯৬০ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করেন। মো. ইসমাইলের ছোট ছেলে আনিসুর রহমানের সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠালগ্নে মসজিদটি ছিল একতলা। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ছাদে উড়োজাহাজের একটি মডেল স্থাপন করা হয়।
স্বাধীনতার পর একতলা মসজিদটি দোতলা করা হয়। যতবার মসজিদের উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে , ততবার উড়োজাহাজের মডেলটিকে উপরে তোলা হয়েছে। মিনারের চূড়ায় ৬০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজটি অক্ষত আছে এখনও।
সময়ের পালাক্রমে ধীরে ধীরে মসজিদটি সম্প্রসারিত হয়েছে। বদলেছে সড়কের নামও। সড়কটির নাম এখন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সরণি। বিখ্যাত অ্যারোপ্লেন মসজিদের সহকারী ইমাম বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। ঢাকায় এমন মসজিদ আর পাওয়া যাবে না। মানুষ মসজিদটি দেখতে আসেন, নামাজ পড়েন, ভালো লাগে।’
মসজিদটিতে অর্ধ শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এর পরিচালনার দায়িত্বে আছেন প্রয়াত মো. ইসমাইলের পরিবারের সদস্যরা। মসজিদের অধীনে কিছু দোকান রয়েছে। মূলত, দোকানভাড়া ও দানবাক্সে পাওয়া অর্থ দিয়েই মসজিদটি পরিচালনা করা হয়।