বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

দূর থেকেই চোখে পড়ে হলুদ মসজিদটি

বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে পুরান ঢাকার ধনু বেপারী হলুদ মসজিদ

পুরান ঢাকার নারিন্দার শরৎগুপ্ত রোডে আছে ‘ধনু বেপারী হলুদ মসজিদ’। হলুদ মসজিদ নামেই পরিচিত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মসজিদটি চকচক করলেও এর বয়স প্রায় পৌনে দুই শ’ বছর। এটি শুধু নারিন্দার নয়, বরং পুরান ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্যের মধ্যে একটি। ধারণা করা হয়, ১৮৪০ শতকের দিকে পুরান ঢাকার সম্পদশালী ব্যবসায়ী ধনু মিয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে হলুদ মসজিদের যে রূপ বা অবকাঠামো ছিল তা আমূল বদলে গেছে এখন।

IMG_20210614_162732শুরুর দিকে 'ধনু বেপারী হলুদ মসজিদ' একতলা ছিল। পরে দোতলা করা হয়। ধীরে ধীরে মুসুল্লির সংখ্যা বাড়তে থাকলে মসজিদটিও সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৪০ সালে মসজিদটি ভেঙে নতুন কাঠামো দেওয়া হয়।

এখন এটি পাঁচতলা। একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আছে মাদরাসা। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে অনেকেই যান পুরান ঢাকায়।

IMG_20210614_163645হলুদ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ধনু বেপারী সম্পর্কে নারিন্দার প্রবীণ অধিবাসী মো. জামিল হোসেন বলেন, তিনি নারিন্দার প্রভাবশালী ছিলেন। নানা কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দানশীলও ছিলেন। ১৮৪০ সালের দিকে মসজিদটি বানান তিনি। সেই হিসেবে মসজিদটির বয়স পৌনে দুই শ’ বছর। পূর্বপুরুষদের কাছে জানতে পারি ১৮৫০ দশকের দিকে ধনু বেপারী মারা যান। পরে তার উত্তরাধিকারীরা এই মসজিদের মোতাওয়াল্লির দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন কমিটির মাধ্যমে মসজিদটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

IMG_20210614_162732ধনু বেপারীর হলুদ মসজিদ এখনও হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ রঙের হওয়ায় মসজিদটি অনেক দূর থেকেও চোখে পড়ে। মসজিদের ভেতরটা বাহারি টাইলস দিয়ে সাজানো। সাধারণত পুরনো ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর গায়ে নির্মাণ সময়ের সাল বা তারিখ উৎকীর্ণ নামফলক থাকলেও এই মসজিদের গায়ে এমন কোনও নিদর্শন নেই।IMG_20210614_161907