বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

মসজিদটির সংস্কার হয়েছিল ‘অদৃশ্য আদেশে’

বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে পুরান ঢাকার কাজীবাড়ি মসজিদ।

পুরান ঢাকার কলতাবাজার হাজী আব্দুল মজিদ লেনে গেলে দেখা যাবে দুই শ’ বছরের পুরনো কাজী আবদুর রউফ জামে মসজিদ। এলাকায় কাজীবাড়ি মসজিদ নামেই পরিচিত। প্রায় দুই শ’ বছর আগে কাজী আবদুর রউফ ও সৈয়দ পরিবার মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

মসজিদের ভেতরে-বাইরে দেয়াল বর্ণিল টাইলসে আবৃত

কাজী আবদুর রউফের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া এ স্থানে বহুকালের পুরাতন জীর্ণ দালানি মসজিদ ছিল। পরে ১৯১৫ সালে তা ভেঙে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। জনশ্রুতি আছে অদৃশ্য আদেশপ্রাপ্ত হয়েই নাকি মসজিদটি ভাঙা হয়।

মসজিদের ভেতরে-বাইরে দেয়াল বর্ণিল টাইলসে আবৃত। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির প্রশস্ততা একেবারেই কম। একসঙ্গে পঞ্চাশজন মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

ছোট হলেও মসজিদের গায়ের কারুকার্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। অনেক দূর থেকেও লোকে এখানে আসে ইবাদত করতে। পর্যটকরাও পুরান ঢাকার মসজিদটি না দেখে যান না।

এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির প্রশস্ততা একেবারেই কম

মসজিদ পরিচালনায় নির্দিষ্ট কোনও ইমাম, মুয়াজ্জিন বা খতিব নেই। নেই সুনির্দিষ্ট আয়ের উৎসও। স্থানীয়দের দানেই এটি চলছে। পাশে থাকা দারুল উলুম মহিউস সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইউসুফ এখন মসজিদটির খেদমত করছেন। তার আগে দায়িত্বে ছিলেন একই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মশিউর রহমান।কাজীবাড়ির-মসজিদ-৪

মাওলানা ইউসুফ জানান, দুই শ’ বছরের পুরনো মসজিদটি দেখতে ও এর ইতিহাস জানতে অনেকেই আসেন। এলাকার প্রবীণ ও দেয়াল লিখন থেকে এর কিছু ইতিহাস জানা গেছে।