মদ্যপায়ী ও মাদকসেবীর আখেরাতে কী শাস্তি হবে?

মদপান ইসলামি শরিয়তে নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তির বেদী এবং শুভ-অশুভ নির্ণয়ের তীর-এসব গর্হিত বিষয়, শয়তানি কাজ। সুতরাং এ থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকো, যেন তোমরা সফলতা লাভ করতে পারো।’ (সুরা : মায়িদাহ, আয়াত : ৯০)

 

মদের ওপর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অভিশাপ

এ ব্যাপারে রাসুল (সা.)-এর সতর্কবার্তাও অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ মদের ওপর, তা পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে তা নিষ্কাশন করে এবং যার আদেশে নিষ্কাশন করা হয় তার ওপর, আর যে ব্যক্তি তা বহন করে এবং যার কাছে পৌঁছে দেয়, সবার ওপর।’ (সুনানে আবি দাউদ)

 

আখেরাতে মদ্যপায়ীর শাস্তি

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যাক্তি ইয়ামেন থেকে আগমণ করে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে তাদের ভূমিতে উৎপন্ন যুরাহ (ভুট্টা) থেকে প্রস্তুতকৃত শরাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, যাকে মিযরুও বলা হয়। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, তা কি নেশা সৃষ্টিকারী? সে ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিল। তখন রাসুল (সা.)  বললেন, সকল প্রকার নেশাবস্তু হারাম। আল্লাহ এ অঙ্গীকার করেছেন যে, যে ব্যক্তি নেশাবস্তু পান করবে তিনি তাকে তীনাতুল খাবাল ভক্ষণ করাবেন। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তীনাতুল খাবাল কী? তিনি বললেন, জাহান্নামিদের ঘাম অথবা জাহান্নামিদের থেকে নির্গত দুর্গন্ধযুক্ত নিকৃষ্ট রস। (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং: ২০০২, নাসাঈ শরিফ, হাদিস নং: ৫৭০৯)

 

মদ্যপানে উপকার আছে?

অনেকে বলে, পরিমিত মদপানে উপকার আছে। কিছু ক্ষেত্রে এ দাবি সত্য। তারপরও মদ পান করা যাবে না। কারণ, এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলে দিন- এ দুটোর মধ্যেই রয়েছে মহাপাপ, যদিও মানুষের জন্যে কিছু উপকার রয়েছে। কিন্তু এর পাপ উপকারের চেয়ে বেশি।’ (২: ২১৯)