কোন কোন কারণে আজান দেওয়া যায়?

উত্তর দেওয়ার আগে জেনে নেওয়া যাক আজানের ফজিলত।

ইসলামের অন্যতম নিদর্শন আজান। প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসুল্লিদের নামাজের জন্য ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং ভালবাসা স্থাপন প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। হাদিস শরিফে আজান দেওয়ার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবার উঁচুতে থাকবে। (সহিহ মুসলিম, আজানের ফজিলত অধ্যায়, হাদিস: ৩৮৭)

 

আগে যেসব কারণে আজান দেওয়া হতো

ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে নামাজ ছাড়াও আরও একাধিক কারণে আজান দেওয়ার নজির আছে। মক্কা বিজয়ের পরে রাসুল (সা.) হজরত বেলাল (রা.)-কে কাবা শরিফের ছাদে উঠে আজান দেওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি আজান দেন। (সিরাতে মুস্তফা, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৪৯ ও আর রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা: ৪২১)।

তাছাড়া, মুসলমানদের প্রথম কেবলাখ্যাত ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা বিজয়ের পরও আজান দেওয়া হয়। হজরত ওমর (রা.) বলেন, হে আমাদের নেতা বেলাল! আজ ইসলামের প্রথম কেবলায় ইসলামের ঝান্ডা উড়ছে, এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে যদি আপনি আজান দেন খুব ভালো হয়।

 

নামাজের আহ্বান ছাড়াও আরও যেসব কারণে আজান দেওয়া যায়

বিশেষজ্ঞ আলেমদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজান দেওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। ইবনে হাজার হাইতামি বলেন, আরও যেসব কারণে আজান দেওয়া যাবে, তার মধ্যে আছে- নবজাতকের জন্ম, শয়তান বিতাড়ন, ভূমিকম্প, ভয় পাওয়া, রাগান্বিত হওয়া, কোনও ভয়ঙ্কর জন্তু দেখা, সৈন্যদলের ভিড় লাগা এবং অগ্নিকাণ্ডের সময়। (সূত্র: ইসলাম ওয়েব)।

 

মসজিদের বাইরে নামাজ পড়লে আজান দিতে হয়?

মসজিদের বাইরে নামাজ পড়লেও আজান দেওয়া মুস্তাহাব। এমনকি একা নামাজ পড়লেও নিচুস্বরে আজান ও ইকামত দেওয়া উত্তম। তবে আজান না দিলে নামাজের কোনও ক্ষতি হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ১/২৭৭, আলবাহরুর রায়েক ১/২৬৫)।