দুদু বলেন, ‘আমরা কখনোই জাতীয় অস্থিরতা পছন্দ করি না এবং অগ্রগতির জন্য অস্থিরতাকে সময় উপযোগী মনে করি না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সৈয়দ আশরাফ ও তার নেত্রীকে সহযোগিতা করতে চাই। জঙ্গিবাদকে ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি, আমাদের নেত্রীও চেয়েছেন।সেই দিকে আমরা সৈয়দ আশরাফের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।’
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা দুদু বলেন, ‘আমরা যদি হাইকোর্টকে বিতর্কিত করি, সুপ্রিম কোর্টকে বিতর্কিত করি, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করি, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা যদি সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করি তাহলে সভ্যতা থাকবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিভিন্ন মামলা প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির মহাসচিবসহ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং দুরভিসন্ধিমূলক।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার বাড়ি ও জমি বাজেয়াপ্ত হয়েছে- পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এমন সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ মামলায় সাদেক হোসেন খোকার অনুপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়েছে। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে কালিমা লেপনের হীন উদ্দ্যেশেই এই রাজনৈতিক নগ্নতার বহির্প্রকাশ ঘটিয়েছে সরকার।’
এসময় দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় ভার নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করার আহ্বান জানান শামসুজ্জামান দুদু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ- প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আওয়াল খান, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।
এসটিএস/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কমুক্ত রাখার আহ্বান আশরাফের