মির্জা ফখরুল বলেন, 'খালেদা জিয়ার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে দুই দেশের পারষ্পারিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় থেকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুরু হয়। এই সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আশা করে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।'
মহাসচিব আরও জানান, চীন সবসময় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অকৃত্রিম বন্ধু।
বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন, ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তার দেশ যে ভূমিকা রাখছে, তাতে বাংলাদেশ সবসময় চীনের পাশে থাকবে।
রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে শুক্রবার বিকাল ৫টা ৩৩ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়। চলে ৪০ মিনিট। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বিকাল ৫টায় হোটেলে পৌঁছান।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসনে, লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.), নজরুল ইসলাম খান, উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও রিয়াজ রহমান।
বৈঠকের পর লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্কের বাইরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তাইওয়ান বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের সঙ্গেই আছে। আমরাও চাই, এক চীন নীতি অটুট থাকুক।’
চীনের প্রেসিডেন্টকে বিএনপির তরফে কোনও উপহার বা ডুকমেন্টস দেওয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘না, আমাদের মধ্যে কেবল আলোচনা হয়েছে।’
বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে মাহবুবুর রহমান হোটেল লা মেরিডিয়ানেই ছিলেন। চীনের সিল্ক রোডসহ নানা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
/এসটিএস/এআরএল/