শেখ হাসিনার বক্তব্য গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: মির্জা ফখরুল

IMG_20161024_115704

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আফসার আহমেদ সিদ্দিকীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাউন্সিলে বলেছেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। যে কোনও মূল্যে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। তার এ বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে গেছে তাদের লক্ষ্য কি এবং তারা কী করতে চায়। ‘৭২-৭৫’ সাল পর্যন্ত যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। এখনও তাদের সেই দল ক্ষমতা দখল করে আছে। এখন সময় পাল্টেছে, তাদের কৌশলও পাল্টেছে। এখন তারা জনগণকে বলছে উন্নয়ন আগে, গণতন্ত্র পরে।’ 

তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন  করতে গিয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। অনেকে গুম হয়েছেন। অনেকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ রকম একটা পরিবেশে ঐক্যের বিকল্প নেই। এ ঐক্য দলের মধ্যে। জাতীয় ঐক্য গঠন করে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ 

আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘একাউন্সিলে জনগণের মধ্যে সাড়া না থাকলেও মিডিয়ার মধ্যে সাড়া ছিল।’

নির্বাচন কমিশন গঠন সর্ম্পকে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার সার্চ কমিটির নামে আবার মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠনের পায়তারা করছে। আমি আবার আহ্বান জানাবো সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ মেরুদণ্ডহীন ইসি মেনে নেবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের কথায় কাজ করেছে। তাদের নিজস্ব বলতে কিছু ছিল না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এদের বিচার করা হবে।’ 

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অনেকে।

 /এসটি/