কমিটি ৬০ দিনের মধ্যে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, প্রচলিত নিয়মে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার সময় প্রকল্পের জন্য চলতি মূলধন ঋণ বিতরণ করা হয়। এক্ষেত্রে মেসার্স পটোটো ফ্ল্যাক্সকে উৎপাদনে যাওয়ার দেড় বছর আগেই ঋণ বিতরণ করা হয় এবং ঋণের টাকা ভিন্ন খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী সহ-জামানাত নেওয়ার কথা থাকলেও অগ্রণী ব্যাংকের তেজগাঁও শাখা কোনও ধরনের সহ-জামানত না নিয়েই ঋণ বিতরণ করে।
টাকা আদায়ে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসার্স পটোটো ফ্ল্যাক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান জহিরুল হকসহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আলম ও জামিনদাতা মো. সেলিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল ২০১৭ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের দিন ধার্য রয়েছে।
তবে ব্যাংকের এই বক্তব্যকে গ্রণযোগ্য মনে করেনি নিরীক্ষা বিভাগ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়াসহ অর্থ আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণের মেয়াদ পার হলেও আজ পর্যন্ত গ্রাহক আসল টাকা বা সুদ কোনও টাকাই পরিশোধ করেনি। তবে নিরীক্ষা বিভাগ থেকে অনিয়মের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে ডিও দেওয়া হলেও সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বৈঠকে শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সোনালী ব্যাংক গ্রাহকের রফতানি সামর্থ্য যাচাই না করে ব্যাক টু ব্যাক এলসি স্থাপন, পুনঃতফসিলের শর্তানুযায়ী কিস্তি পরিশোধ না করার পরও পুনরায় ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার সুযোগ দেওয়ার মতো অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে শামীম অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজকে ঋণ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলাম, পঞ্চানন বিশ্বাস, আফম রুহুল হক, শামসুল হক টুকু, মইনউদ্দীন খান বাদল ও রেবেকা মমিন অংশ নেন।
/ইএইচএস/এমএনএইচ/