প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করুন: আ.লীগকে জামায়াত



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীগাইবান্ধা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের  প্রকৃত খুনি ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন,‘‘গত ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রদত্ত উস্কানীমূলক মিথ্যা বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হয়েছি।’’ 
সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রফিকুল দাবি করেন, ‘নানকের বক্তব্য অসত্য ও ভিত্তিহীন।’ জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমরা গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার নিন্দা এবং ওই হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই জাহাঙ্গীর কবির নানক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা। উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর হীন উদ্দেশেই তিনি এ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন।’ 
বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রীর বক্তব্যে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের দিকেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দারা বলেছেন যে, খুনিরা এমপি লিটনের পূর্ব পরিচিত। এমপি লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী অজ্ঞাতনামা পাঁচ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অথচ তা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার জন্যই এসব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। 
জামায়াত ঢাকা মহানগরের সাবেক এই আমির আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে, তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াত-ছাত্রশিবিরের দিকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিচ্ছেন। কোনও ঘটনা ঘটলেই তার সঙ্গে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালায়।’ 
রফিকুল বলেন, ‘আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, জামায়াত ও ছাত্রশিবির সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। তাই সংসদ সদস্য লিটনের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোনও সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না। নিজেদের দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার  উদ্দেশ্যেই এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই যে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা ছেড়ে দিয়ে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করুন। তাহলেই দেশে শান্তি আসবে।’ 
বিবৃতিতে লিটনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের যেসব নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে নিঃর্শত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান রফিকুল ইসলাম খান। 
/এসটিএস/এপিএইচ/