২৬ জানুয়ারি হরতাল সফলে গণসংহতি-ছাত্র ফেডারেশনের গণসংযোগ

হরতালের পক্ষে কাওরান বাজার এলাকায় গণসংহতি আন্দোলনের গণসংযোগ ও প্রচারণাআগামী ২৬ জানুয়ারি রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎবন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল সফল করতে প্রচারণা ও গণসংযোগ করছে গণসংহতি আন্দোলন ও সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশন। জাতীয় কমিটির শরিক এ দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজার-নাখালপাড়ায় এ প্রচারণা চালানো হয়। এসময় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেলসহ গণসংহতি ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কারওয়ান বাজারের একুশে টিভি ভবনের সামনে থেকে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ২৬ জানুয়ারির হরতাল নিয়ে প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু হয়। ওই এলাকায় দলটির নেতা-কর্মীরা হরতালের সমর্থনে প্রচারপত্র বিলি করেন। এসময় গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পুসহ ঢাকা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণসংযোগের সময় জোনায়েদ সাকি বলেন, ২৬ জানুয়ারির হরতাল কোনও দল বা ব্যক্তির স্বার্থে নয়। এই হরতাল জাতীয় স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে যাওয়া রামপাল চুক্তি ঠেকাতে হরতালের দিন প্রত্যেকেই অফিসে কর্মবিরতি পালন করুন, দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখুন।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বহু বিকল্প আছে। কিন্তু সুন্দরবনের কোনও বিকল্প নেই। ভারতের বাতিল প্রকল্প বাংলাদেশে চালু করা মানে সেটা জাতীয় সার্বভৌমত্বের অমর্যাদা। তাই সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন কেবল প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার আন্দোলনই নয়, এটি একইসঙ্গে দেশের আত্মমর্যাদা রক্ষারও প্রশ্ন।
/এসটিএস/