বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই দেশে যদি সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হয় এবং জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হয়; তাহলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিকল্প নেই। সময় থাকতে যদি হুঁশ না আসে, তাহলে দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে।’ তার দায়ভার এককভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে’, আওয়ামী লীগের নেতাদের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার নানা কৌশল ও ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা। এসব মামলার কোনও সত্যতা নেই।’
আওয়ামী লীগের একজন ‘ঘোর সমর্থক’কে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘এই কমিশনের অধীনে এদেশে কোনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। বিএনপি মনে করে, আওয়ামী লীগ আবারও বিনাভোটে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতেই রকিব মার্কা আরেকটি নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে।’
‘পিলখানা ট্র্যাজেডি: কেন এই সেনা হত্যা, কার স্বার্থে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা। জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফল রহমানসহ উচ্চ পর্যায়ের নেতারা সভায় বক্তব্য রাখেন।
/আরএআর/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
‘ফের এমপি হওয়ার লোভ থেকেই লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কাদের’