নতুন নাগরিকত্ব আইন জনগণ মানবে না: মঈন খান

মঈন খানদেশে নাগরিকত্ব আইনের নামে নতুন কোনও কালো আইন জনগণ মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈনখান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইনের খসড়ার অনুমোদনের শুরু থেকেই কয়েকটি ধারায় অপত্তি ওঠে। কারণ এ আইন কার্যকর হলে, কোনও কোনও প্রবাসীর বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে। কিন্তু এখনও তা সংশোধনের কোনও উদ্যোগই চোখে পড়েনি।’

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘নাগরিকের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব আইন’ শীর্ষক ওই গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করে সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্টাডিজ।

মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল স্বাধীনচেতা। অধিকারের জন্য ও অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এছাড়া নিজেদের ন্যায় বিচার ও অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ। ফলে মিথ্যা দিয়ে, কালো আইন দিয়ে, হুমকি দিয়ে এই দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষ অন্যায় করে না। কেবল সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে। ফলে তারা আইন মেনে নিয়েছে কিন্তু কালো আইন মেনে নেয়নি।’

নতুন আইন করে কিছু লোক ফায়দা লুটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন আইন প্রনয়নের মাধ্যমে এ দেশের এক শ্রেণির মানুষ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই। নিজেদের সম্পদ বাড়িয়ে সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে চাই।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্বৈত আইনের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আদর্শে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকুমার বড়ুয়া, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভা নাগরিকত্ব আইন ২০১৬-এর খসড়াটি অনুমোদন করে, যা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের (যাচাই) জন্য পাঠানো হয়।

/আরএআর/এসএনএইচ/