‘কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা নামানোর এজেন্ডা হেফাজতের নেই’

হেফাজতে ইসলামহেফাজতে ইসলামের কোনও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির মহাসচিব মুহাম্মদ জুনাইদ বাবুনগরী। তিনি বলেছেন, ‘হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক ঈমান-আকিদাভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন। সরকার বা বিরোধী দলের সঙ্গে এর কোনও গোপন সম্পর্ক নেই। কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানোর এজেন্ডাও আমাদের নেই।’ বুধবার (২৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা এবং দেশের শীর্ষ ওলামাদেরকে নিয়ে কিছু ইসলামবিদ্বেষী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণার পর থেকেই চিহ্নিত ওই মহলটি ধারবাহিকভাবে হাটহাজারী মাদরাসা, হেফাজতে ইসলাম ও আমিরে হেফাজতকে নিয়ে গল্প তৈরি করে আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষদের ক্ষুব্ধ করে তুলছে। মুসলমানদের ঈমান-আকিদার হেফাজত ও অপশক্তির মোকাবিলায় আমরা সবসময় সোচ্চার। কোনও তাগুতি শক্তির সামনে আমরা মাথা নত করব না।’
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘গত ২৪ ও ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিক পত্রিকা হেফাজতের আমির, হাটহজারী মাদ্রাসা ও কওমি শিক্ষার বিরুদ্ধে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে একাধিক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসবের কোনও সত্যতা নেই। আহমদ শফী দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও শাইখুল হাদীস। অর্থ-বিত্ত বা ধন-সম্পদের প্রতি তার কোনও লোভ-লালসা নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি নিজ নামে জমি বরাদ্ধের কোনও আবেদন কোনোদিন করেননি।’
রেলওয়ের জমি বরাদ্দ প্রসঙ্গে হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘রেলওয়ের জমি নিয়ে কতিপয় মিডিয়া বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ২০০৮ সালে ওই জমি হাটহাজারী মাদ্রাসার নামে বরাদ্ধ দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। যোগাযোগমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে টাঙানো হয় সাইনবোর্ড। ওই জমিগুলো মাদ্রাসার নিজস্ব জমির মধ্যে ও লাগোয়া হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসার দখলে রয়েছে। হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রয়োজনেই জমিগুলোর জন্য আবেদন করা হয়েছে, আহমদ শফীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়।’

আরও পড়ুন-

জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা

ছাত্র ইউনিয়নের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

/সিএ/টিআর/