কবির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির এই চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ। শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নিজেও অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী। তার ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্রণা ছিল সুষ্পষ্ট। তার সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বতঃস্ফূর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যে বিশিষ্ট শিল্পরূপ ধারণ করেছে।’
কবি নজরুল যুগান্তরের কবি এবং বাংলা সাহিত্যে নবযুগের সূচণা করেন বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
আলাদা এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তার চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের জাতীয় রণ সঙ্গীত হিসাবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করে দেশ থেকে অন্যয় অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করতে তার লেখনির আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে।”
এদিকে, কবি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলো। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম মানবতা ও মানুষের কবি। নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে জনপদে অমর হয়ে রইলেন। কাজী নজরুল আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন, আমাদের অন্তরে।’
মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘কাজী নজরুলের সাহিত্যের বজ্র-বিদ্যুৎ নিয়ে উড়ে বাংলা সাহিত্যের আকাশ জুড়ে। কবির সৃজনশীল জীবনের সময়সীমা স্বল্পকালীন হলেও অনেক বেশি বিচিত্র, তার ব্যক্তিজীবন ও কর্মজীবন এর বেলায় ও আমরা সেটাই দেখি।’
এসটিএস/এসএমএ/