বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর শেখ হাসিনার ভোটারবিহীন সরকারের কোনও বৈধতা নেই। সর্বকালের সব অবৈধ স্বৈরাচারী সরকার জবরদস্তী পছন্দ করে। গণতন্ত্রের পথ, সুষ্ঠু ভোটের পথ তারা বিষাক্ত মনে করে। বাংলাদেশে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারও একই পথ অনুসরণ করছে।’
বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে এতই আপ্লুত যে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের কথা শুনলেই তারা মূর্ছা যান। ক্ষমতার প্রতি তীব্র আবেগ এদের বিবেককে বিবশ করে দিয়েছে। অবৈধ ক্ষমতা দম্ভে অতিকায় স্বেচ্ছাচারী রূপ ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। তাই ডাইনোসোরের মতো খুব দ্রুতই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন দেশবাসী ক্রমাগভাবে দেখে আসছে। শেখ হাসিনার অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সে নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের শান্তিপূর্ণ ভোট প্রদানের কোনও সুযোগ ছিলনা। সেখানে ছিল বারুদের গন্ধ, লাশের মিছিল, রক্তের স্রোত। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের একটি খেতাব এখন সর্বজন স্বীকৃত। সেটি হচ্ছে ফেনী মার্কা নির্বাচন।’
রিজভীর দাবি, ‘অঙ্গীকার ভঙ্গের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বারবার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। এই অঙ্গীকার ভঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় জনগণকে তারা পরোয়া করে না, জনমতকে তারা উপহাস করে।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনও লাভ হবে না। সংবিধান হিমালয় পর্বত নয় যে, তাকে নড়ানো যাবে না। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা যায়। সংবিধান সংশোধনও সংবিধানের বিধান।’
রিজভী মনে করেন, ‘নৌকার বিসর্জনের বাজনা বাজতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীনরা এবার শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা নিলে পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হবে।’
/এসটিএস/এসএনএইচ/