অ্যাডভোকেট আবদুস সালামকে শ্রদ্ধা জানাতে শোকসভাটি আয়োজন করে আবদুস সালাম শোকসভা আয়োজক কমিটি। এতে তেল-গ্যাস খণিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন।
সভায় নেতারা বলেন, ‘আবদুস সালাম আজীবন রাজনীতিক ছিলেন এবং দুর্নীতির সঙ্গে তিনি কোনও আপোষ করেননি। একইসঙ্গে জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের সময় অন্যান্য বাম রাজনীতিক, বিশেষ করে পিকিংপন্থী বামপন্থীরা সুযোগ-সুবিধা নিলেও আবদুস সালাম বিরত থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিলেন।’
অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের গুরুত্ব এবং সমস্ত সম্পদের ওপর কিভাবে জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সে বিষয়ে সর্বাত্মকভাবে সক্রিয় ছিলেন আব্দুস সালাম। তেমনি লেখালেখির মাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন এই নেতা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে কিভাবে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জায়গাকে রুদ্ধ করা আছে সে বিষয়ে তাকে সোচ্চার থাকতে দেখা গেছে।’
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘জাতীয় সম্পদ রক্ষার লড়াইয়ের ময়দানে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামের মতো প্রবীণ নেতারা সরাসরি সংগ্রামে যুক্ত থাকা তরুণদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মার্কসবাদকে বোঝার জায়গাটা আবদুস সালামের মধ্যে সহজাতভাবেই ছিল। তিনি সব বিষয়কেই অনেক খোলাখুলিভাবে দেখেছেন। এমনকি আমরা কখনও কখনও কিছু বলতে ভয় পেলেও তার কোনও সংশয় ছিল না। সরাসরি যেকোনও প্রশ্ন করাই ছিল তার সহজাত প্রবৃত্তি।’
বাম নেতা হামিদুল হক বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি লড়াই করেছেন। এমনকি ওই সময় রাজশাহীতে পিকিংপন্থী বামপন্থীরা জিয়াউর রহমান সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিলেও তিনি বিরত থেকেছেন। আন্দোলনও করেছেন জিয়ার বিরুদ্ধে।’
আবদুস সালাম গত ২৬ মে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাকে নিয়ে লিখিত একটি রচনায় বলা হয়েছে, আবদুস সালামের অনুসন্ধান আর বোঝাপড়া তাকে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পথ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভেতরে তার শেকড় খুঁজতে অনুপ্রাণীত করেছে।
/এসটিএস/এসএম/