অচিরেই তৃতীয় শক্তির আত্মপ্রকাশ: আ স ম আবদুর রব

আ স ম আবদুর রবদুই জোটের বিকল্প হিসেবে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন,‘তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করি অবিলম্বে এ শক্তি আত্মপ্রকাশ করবে।’ শুক্রবার (৪ আগস্ট) জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ প্রতিনিধি সভায়  তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন,‘দেশে বর্তমানে গণতন্ত্র, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে; যেভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, সরকারের পেটুয়া বাহিনী হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে, এতে সরকার জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ অবস্থা স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারের আমলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।’

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে বিচার বিভাগের রায় গণতন্ত্র, নির্বাচন ও সংসদ প্রশ্নে আমুল সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় রাষ্ট্র ধ্বংসের মুখে তা এখন অনেকেই উপলদ্ধি করতে পেরেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপনিবেশিক রাজনীতি দিয়ে বাস্তবায়ন যোগ্য নয়, তা আমরাই উদ্ভাবন করেছিলাম। সুতরাং আমাদের ঘোষিত ১০ দফার রাজনীতিই এ সময় সমাজের চাহিদা।’

রব আরও বলেন, ‘দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত কারার জন্য নির্বাচনকালীন একটি নির্বাচিত, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিতামূলক সরকার থাকতে হবে। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ গঠন করে সেখান থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের  প্রস্তাব দিয়েছে জেএসডি।’

সভায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন আসনের প্রার্থী তালিকা প্রণয়ন এবং একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে কোথাও যদি অপূর্ণতা থাকে তা পুর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, ‘সরকার ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চাইলে দেশে সহিংস সংঘাতের রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, যা বর্তমান সরকার ও দেশ-জাতি কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।’

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মিসেস তানিয়া রব, শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, দবির উদ্দিন জোয়ার্দার, খোশ লেহাজ উদ্দীন খোকা প্রমুখ।

/এসটিএস/এসএমএ/