রায় নিয়ে যারা লাফাচ্ছেন, তারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা: শেখ সেলিম

 

শোক দিবস উপলক্ষে এফবিসিসিআই আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারাষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে যারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘একটি রায় নিয়ে এখন দুই/একজন লাফাচ্ছেন। সেই রায় নিয়ে যারা লাফাচ্ছেন, তারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখনও ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের পরিণতি খুব করুণ হবে।’ মঙ্গলবার (২২আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এফবিসিসিআই আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লাফা-লাফি করে কোনও লাভ হবে না। যে যা করবেন, তিনি তার ফল পাবেন। ’

সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আগে কখনোই বাঙালি জাতি স্বাধীন ছিল না। বাংলাদেশ নামটাও বঙ্গবন্ধুরই দেওয়া।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন জীবত ছিলেন, তখনও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনও তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তবে আজ যেই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, তারা একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’  

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১১টার সময় রেডিও স্টেশনে কে এম সফিউল্লাহ বীরের মতো আনুগত্য স্বীকার করেছেন দাবি করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ওই দিন সফিউল্লাহ কাদের কাছে আনুগত্য স্বীকার করলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, তার পেছনে আমলারাও জড়িত ছিলেন।’

শেখ ফজলুল করিম সেলিম  বলেন, ‘আমি সেদিন একখানা ফটো পেয়েছি। আমার ফোনের ভেতরে আছে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর রেডিও স্টেশনে যারা গিয়েছিলেন, তাদের একটা ছবি রয়েছে, সেখানে কে ছিলেন? কর্নেল ওসমানি। খুনিদের সঙ্গে কর্নেল ওসমানি করর্মদন করছেন। ডানপাশে মোশতাক বসা, আরেক পাশে জিয়াউর রহমান বসা।’ তিনি বলেন, ‘যারা বঙ্গন্ধুর হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সে জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘আমেরিকা বঙ্গবন্ধুর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ওই সময় দেশে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। বে অব বেঙ্গলের খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্য সরিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছিল।  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাত দিনের মধ্যে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন কিভাবে? খুনিদের বিশ্বস্ত লোক না হলে সাত দিনের মধ্যে সেনাপ্রধান হতে পারেন না।’

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান টিপু মুন্সী, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মুহাম্মদ ফরাস উদ্দিন প্রমুখ।