চালের দামের ঊর্ধ্বগতি সরকারের অযোগ্যতার ফল: গণসংহতি

গণসংহতি আন্দোলনচালের দামের ঊর্ধ্বগতিকে সরকারের অযোগ্যতার ফল বলে দাবি করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি মনে করে, একদিকে সরকারের অযোগ্যতায় মোটা চালের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, অন্যদিকে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে— এই অজুহাতে ওএমএসের দরিদ্র মানুষের জন্য বিক্রি করা চালের দাম দ্বিগুণ করে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত চিন্তার বিকারগ্রস্ততারই নিদর্শন।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলের এক বৈঠকে এসব কথা জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান রুবেল, তাসলিমা আখ্তার, বাচ্চু ভূঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, আবু বকর রিপন, দীপক রায়সহ গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৈঠকে গণসংহতি নেতারা বলেন, সরকার মজুদ চালের পরিমাণ বাড়াতে তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। অন্যদিকে, দেশের খোলাবাজারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লুটেরা ব্যবসায়ীদের হাতে। সব মিলিয়ে গোটা বাংলাদেশের জনগণ এখন এক অনিরাপদ অব্স্থার মুখোমুখি। ইতিহাসে এই প্রথম মোটা চালের দাম ৫০ টাকা হয়েছে। অথচ গত কয়েক বছরে পোশাক শ্রমিক বা দিনমজুরদের আয় বাড়েনি। ফলে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ শ্রমজীবী এখন ভাতের কষ্টে ভুগছেন। এই অবস্থার জন্য সরকারের অযোগ্যতা ও বড় ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা করে দেওয়ার নীতিই দায়ী।
গণসংহতি নেতারা আরও বলেন, সরকারের যেখানে কর্তব্য ছিল দাম কমিয়ে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা, সেখানে সরকারই চালের দাম দ্বিগুণ করে খোলাবাজারে দাম বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে, বৈধতা দিচ্ছে।
বৈঠকে অবিলম্বে ওএমএসের চাল ১৫ টাকাতেই বিক্রি করার এবং এর আওতা বাড়ানোর দাবি জানায় গণসংহতি আন্দোলন।