জিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলায় ইসির পদত্যাগ দাবি কাদের সিদ্দিকীর

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সংলাপ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেও শেষ সময়ে তা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এসময় দলটির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে ইসির নির্ধারিত সংলাপ ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে এ সংলাপে অংশ নেন দলটির নেতারা।

সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠকের পর শেষ সময়ে এসে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ‘জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা’ বলার প্রসঙ্গটি তোলেন। এ সময় সিইসিকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ওই কথা বলে আপনি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। হয় আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন, না হলে পদত্যাগ করবেন। এ সময় কাদের সিদ্দিকী সংলাপ বয়কট করেন।

পরে কাদের সিদ্দিকী বাইরে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তার দলের সংলাপ বয়কটের কথা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবির কথা জানান।

এর আগে রবিবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের স্বাগত ভাষণে সিইসি নুরুল হুদা তার উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায় বলে উল্লেখ করেন।

রবিবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে দলটির  প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে সিইসি বলেন, ‘বহুমত, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার গঠন করে। জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়।

সিইসি ওই সময় বিএনপি সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্যও তুলে ধরেন। ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে সিইসি ওই দলের প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের পাশাপাশি তাদের অর্জনসমূহ কমবেশি তুলে ধরেছেন।