‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের সুযোগ সরকার শুরুতেই নষ্ট করেছে’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (ফাইল ছবি)বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রথমে সন্ত্রাসী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা চলে। এখানে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারের পার্থক্য ছিল না। মিয়ানমার গণহত্যায় নেমেছে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মেরুদণ্ড সোজা না করে বরং নমনীয় হলেন। কিন্তু মিয়ানমার বাংলাদেশকে টার্গেট করেই এ কাজ শুরু করে। আমাদের সরকার তার কিছুই বুঝেনি। এভাবে রোহিঙ্গা সমাধানের সুযোগ শুরুতেই নষ্ট করে সরকার।’

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘আন্তর্জাতিক আইনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং সরকারের ভূমিকা: সমাধান ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যখন সারাবিশ্ব জেগে উঠলো, তখন বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক সুযোগ নিতে সরকার রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ায়। এটি মানবতার কারণে নয়, পুরস্কারের আশা ছিল। শুরু থেকে কূটনৈতিক সমাধানের পথে গেলে সমাধান করা যেতো।’ রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার হঠাৎ করে গণহত্যা শুরু করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এটি জাতিগত নির্মূল। জাতিগত নির্মূল যেখানে করা হয় সেখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করা হয়। অথচ আমাদের গোয়েন্দারা তা আঁচ করতে পারল না। ঘটনা ঘটার পরও যে ব্যর্থতা সরকার দেখিয়েছে তা আমাদের অবাক করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলেছি, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে রাজনীতি নয়। বিএনপির অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। কিন্ত সরকার তা আমলে নেয়নি। আমাদের এখন কোনও বন্ধু নেই। যারা আমাদের এতদিন বন্ধু বলে প্রচার করেছিল, তারা নেই। এখন বন্ধুহীন অবস্থায় আছি আমরা। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে হলে জাতীয় ঐক্য,আইনের শাসন,গণতন্ত্র দরকার। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক অবস্থানও শক্ত হবে। কিন্তু কী করতে হবে তাও সরকার বুঝতে পারছে না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কফি আনান কমিশনের রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের জাতি পরিচয় অস্বীকার করা হয়েছে। কারণ,যে কমিটি করা হয়েছে তার ৯ জনের ছয়জনই মিয়ানমার সরকারের। তাহলে যাকে স্বীকার করছে না, তার সমস্যা কিভাবে সমাধান সম্ভব?

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।