সম্প্রচার আইন-২০১৭ ভয়াবহতম কালো আইন: রিজভী আহমেদ

রুহুল কবীর রিজভী‘সম্প্রচার আইন-২০১৭’কে ভয়াবহতম কালো আইন বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রচার আইন-২০১৭’ নামে যে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করার প্রস্তুতি চলছে, তা ভয়াবহতম আইন। এই আইন সরকার বাস্তবায়ন করলে বিরোধী মতের ওপর নতুন করে নির্যাতন নেমে আসবে।’ বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকার মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করতে একের পর এক কালো আইন তৈরি করছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে আজ কিছুই অবশিষ্ট নেই। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলে শুধু গণমাধ্যম বন্ধই নয়, প্রতিনিয়ত হামলা ও খুনের শিকার হতে হচ্ছে সাংবাদিকদের।’
রিজভী বলেন, ‘গণমাধ্যম ও মানুষের বাকস্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরুপে হরণ করতে সম্প্রচার আইন করতে যাচ্ছে সরকার। অশ্লীল, অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ, জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দেশের অখণ্ডতার প্রতি হুমকি— এই ধরনের বিষয় এনে সরকার এমন কালো আইন করতে যাচ্ছে।’
এই আইনের ৫ কোটি টাকা জরিমানা ও ৩ বছরের সাজার বিধানের উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ক্ষেত্র বিশেষে উভয় দণ্ডেই কাউকে দণ্ডিত করা যেতে পারে। এই আইনের শিরোনামকে যতই ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হোক না কেন, এটি বিরোধী দল, বহুমত, বিশ্বাস ও স্বাধীন চিন্তার ওপর কুঠারাঘাত করার জন্যই পাস করার তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা দাবি করেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের সমালোচনা, সরকারের বিরোধিতা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বেপরোয়াভাবে দমন করার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে। এই আইন পাস হলে একদলীয় দুঃশাসনের কালো অন্ধকার আরও ঘনীভূত হবে। বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে এই আইনটি গিলোটিন হিসেবে ব্যবহার হবে।
রিজভী বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকারের আমলে তৈরি করা বিভিন্ন গণবিরোধী আইনের মধ্যে এটি হবে ভয়াবহতম কালো আইন। দেশের মানুষ এমন কালো আইন মেনে নেবে না।’ আইনটি সংসদে পাস করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী আহমেদ।