মার্কিন পণ্য বর্জনের আহ্বান চরমোনাই পীরের

04মার্কিন পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। সোমবার সকালে বায়তুল মুকারমের সামনে আয়োজিত মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন।

গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে ১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ  সমাবেশ ও মিছিলের কমসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘ট্রাম্পের ঘোষণা বিশ্বের মুসলমানরা মেনে নেননি এবং নিবেও না। ট্রাম্পকে তার ঘোষণা বাতিল করতে হবে অন্যথায় বিশ্বের মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েল ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গড়ে তুলবে। ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে বিশ্বকে নতুন করে সংঘাত এবং অশান্ত করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।’

03 (1)তিনি আরও বলেন, ‘এই স্বীকৃতি বিশ্ব মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিশ্ব আদালতে মামলা করতে হবে। ট্রাম্পের সব কার্যক্রম ও পরিকল্পনা হচ্ছে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করা। এর অংশ হিসেবেই ট্রাম্প মুসলামনদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসের শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেছে। তার এই ঘোষণা প্রত্যাহার না করলে মুসলমানরা আমেরিকায় আঘাত হানতে বাধ্য হবে।’

সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় একটি বিশাল গণমিছিল মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে রওনা দিয়ে পল্টন মোড়, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর পৌঁছলে পুলিশ গণমিছিলে বাধা দেয়।

গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড