সোমবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় পার্টির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেখাব, জাতীয় পার্টি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। মানুষ পরিবর্তন চায়, জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, ‘প্রস্তুত হও, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনবে। ক্ষমতায় যাবে। সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য লড়াই করতে হবে। বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার ওপর নির্যাতন করেছিলেন। বিনা চার্জে জেলে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাদের বিচার হচ্ছে, দুর্নীতির বিচার হচ্ছে। তার প্রমাণ আমরা আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দেখতে পাব। আল্লাহ আছেন, তিনি কোনও অন্যায় মেনে নেন না।’
এরশাদ আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তিন বার ক্ষমতায় এসেছে আমাদের সহযোগিতায়। এ কথা তারা প্রায় সময় ভুলে যান। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। তার প্রতিদান কী পেয়েছি? আমার মহাসচিব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে দিয়ে দল ভাঙানো হলো। আমাকে নির্বাচনে অযোগ্য করা হয়েছিল। ২০০১ সালে নেগেটিভ ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। এখানে আমার কোনও দোষ নেই। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছিলাম, তারা আমাদের ৫৮টি আসন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ২৭টি আসনে তারা প্রার্থী দেয়। আমরা সংসদে বিরোধী দল হতে পারিনি।’
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘অনেকের মনেই প্রশ্ন, আমার পরে কে? আমার পরে কে হবেন সেটা আমি ঘোষণা করে যাব। যদি বিশেষ কারণে ঘোষণা না করতে পারি সেটা প্রেসিডিয়ামের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। দোয়া করবেন যেন আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বেঁচে থাকি। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে যেতে পারি।’
পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।