সরকারের নির্বাচন মোকাবিলার ইচ্ছে নেই: জোনায়েদ সাকি

জোনায়েদ সাকি (ফাইল ছবি)ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন অনুষ্ঠানে হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশ বন্ধে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জোনায়েদ সাকি। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মনে করেন, সরকারের নির্বাচন মোকাবিলার ইচ্ছে নেই বলেই নির্বাচন বানচাল করতে চায়। এ কারণে নানান কারসাজি করে জটিলতা তৈরি করতে চায় সরকার।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক দলগুলোর সমর্থিত প্রার্থী জোনায়েদ সাকি বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেন।  

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমত এই র্নিবাচনকে কেন্দ্র করে আইনি জটিলতার আশঙ্কা ছিল। এটা গণমাধ্যমেও এসেছে, আমরাও আগেই বলেছি। এ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। আইনি পদক্ষেপগুলো নিরসন করেই নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। রিটের কারণে স্থগিতাদেশ এসেছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশন এবং অ্যাটর্নি  জেনারেলের অবিলম্বে আবেদন করা উচিত।’  

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগ না নিলে বুঝবো, সরকারের নীলনকশাতেই আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করা হচ্ছে। সরকার নির্বাচন ও জনগণের ভোট মোকাবিলা করতে চায় না বলেই আইনিভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। সরকার যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে, যা কিছু আয়োজন, তা লোক দেখানো ছিল।’

কোনও পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকি বলেন, ‘আমরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছি।’  তিনি বলেন, ‘স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন হলো। সিটি করপোরেশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ছাড়া চালিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা সরকারের নীলনকশা।’

আরও পড়ুন- 

ডিএনসিসি'র উপনির্বাচনে হাইকোর্টের তিন মাসের স্থগিতাদেশ

‘রায়ের কপি হাতে পেলেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে ইসি’