ড. কামাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তারা এসে রায় দিয়ে গেছেন, পড়ার জন্য। আমি রেখেছি। আমি তাদের বলেছি, আমি রাখলাম। পড়ে দেখব। বড় রায় দুএকদিন তো লাগবেই পড়তে। এরপর উপদেশ দেব আর কী।’
মঙ্গলবার সকালে বিএনপির মহাসচিবসহ কয়েকজন আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি দেন। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা সেখানে অবস্থান করেন। খালেদা জিয়ার মামলাটির বিচারকাজ বর্তমানে হাইকোর্টে চলছে।
ড. কামাল হোসেনের কাছে প্রশ্ন ছিল, বিএনপির প্রতিনিধি দলকে তিনি কী বলেছেন। জবাবে সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘রায়ের কপি আমাকে দিয়েছে, (বলেছে)যে এ ব্যাপারে আপনার সাহায্য চাই।’
তাদের কী বলেছেন আপনি, জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি বলেছি, আমি দেখি, এরপর বলবো।’
ড. কামাল হোসেন বিএনপির প্রতিনিধি দলকে এও জানান, যে তিনি ক্রিমিনাল ‘ল’ লড়েন না। আর রায়ের কপি দিলেও তার ভাষ্য, ‘না পড়ে তো কিছুই বলতে পারছি না।’
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেন বিএনপির প্রতিনিধি দলকে মামলার বিষয়ে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সরেজমিনে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের কপি দেখা যায়। ড. কামাল তার টেবিলের ওপরে রাখা কপির দিকে ইঙ্গিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই যে রায়। বড় কপি, দু’একদিনের মধ্যে পড়ে উপদেশ দেবো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘তিনি খুব ইতিবাচক ছিলেন। পুরো মামলার খোঁজখবর নিয়েছেন। আমরা বিস্তারিত বলার পর, তিনি বললেন, সাজা হলো কীভাবে। যে প্রমাণ আছে, বক্তব্য আছে, তাতে তো এটা হওয়ার কথা না। তিনি পুরোটা শুনে দুঃখ প্রকাশ করলেন। সহানুভূতি প্রকাশ করলেন। আমাকে তিনি বললেন, ফাইলটা রেখে যাও। ফাইল রেখে এসেছি।’
তিনি বলেন,‘ড. কামাল হোসেন এও প্রত্যাশা করছেন, হাইকোর্টের রেওয়াজ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জামিন হওয়ার কথা। তিনি বলেছেন, ম্যাডামের বেল হয়ে যাবে।’’
বৈঠকে অংশ নেওয়া গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন এসেছিলেন স্যারের কাছে (ড. কামাল হোসেন)। স্যার জানিয়েছেন, তিনি এখন ক্রিমিনাল কেস করেন না। এটা তিনি কম বোঝেন, তবে খালেদা জিয়ার প্রতি তার সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) থাকবে।’
খালেদা জিয়ার আপিল মামলায় প্যানেল আইনজীবীদের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মামলায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন সিনিয়র কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তবে এরপরও দল চাইলে যেকোনও আইনজীবীকে নিয়োগ দিতে পারে।’