তারেক রহমানকে ফেরাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আ.লীগের স্মারকলিপি

স্মারকলিপি দিচ্ছেন যুক্তরাজ্য আ.লীগবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (৬ মার্চ) লন্ডনের স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট এ এক কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপিটি পৌঁছে দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতারা।

দেশে বিভিন্ন মামলা মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর তারেক রহমান লন্ডনে বসেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই মামলায় তারেক রহমানেরও ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত সাংগঠনিক প্যাডে লেখা ওই স্মারকলিপিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, তারেক রহমান বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দুটি মামলায় তার কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার মাধ্যমে তারেক রহমান তার অপরাধের সাজা এড়িয়ে যাচ্ছেন।

তারেক রহমানকে পলাতক আসামি উল্লেখ করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানও জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মিয়া।

তারেক রহমানকে দেশে ফেরত পাঠাতে এর আগেও কয়েক দফায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি ও স্মারকলিপি দেয় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বিএনপি বা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস নিয়ে কেউই কথা বলেননি।  ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য এলেও গত দশ বছর তিনি এদেশে কোন প্রক্রিয়ায় বসবাস করছেন, তা নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি যুক্তরাজ্য বিএনপির কোনও নেতাই।