‘রাজাকারের বাচ্চা’ শব্দ দুটি এক্সপাঞ্জ করার দাবি বি. চৌধুরীর





এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর বলা ‘রাজাকারের বাচ্চা’ শব্দ দুটি এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
শনিবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কুড়িল বিশ্বরোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, “আমাদের আন্দোলনরত ছাত্ররা কোনও দল নিয়ে কথা বলেনি, বলেছে নিজেদের দাবির কথা। অথচ সেসব সন্তানকে সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন ‘রাজাকারের বাচ্চা’। এমন একজন মানুষ এ কথা বললেন, যাকে আমি এককালে শ্রদ্ধা করতাম। আমাদের দেশপ্রেমিক সন্তানদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দিলেন, অথচ স্পিকার এখন পর্যন্ত শব্দগুলো এক্সপাঞ্জ করেননি। শব্দগুলো অবিলম্বে এক্সপাঞ্জ করা এবং মাননীয় মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে সবার সামনে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক, এ দাবি জানাচ্ছি।’
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সঠিক নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, “নির্বাচনের বছরে সরকারের যুক্তিহীন ও গণতন্ত্রবিমুখ পদক্ষেপের জন্য মানুষের সংশয় সত্যিকারের সঠিক নির্বাচন হবে কিনা? নাকি ৫ জানুয়ারির মতো ‘নির্বাচন খেলা’ হবে? নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা।’

বাংলা নববর্ষে দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘দেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র যেভাবে সংকুচিত হচ্ছে তাতে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ শঙ্কিত না হয়ে পারে না। জীবনের নিরাপত্তা নেই, আজ আছি কাল বেঁচে থাকবো কিনা জানি না। অনেকে বলেন, এটা পুলিশি রাষ্ট্র।’ যতদিন গণতন্ত্র উন্মুক্ত না হয় ততদিন মানুষের মনে এই সন্দেহ থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘৪৭ বছরে এই দেশ সোনার বাংলা হওয়ার বদলে হয়েছে হাইজ্যাকার, লুটপাট এবং গুম-খুনের দেশ। এখানে গণতন্ত্র নেই, আছে ক্ষমতা জবরদখলকারী, আর যারা ক্ষমতা দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদের করা হয় পদাঘাত।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ, বেগম মাহাতাব, হাফিজুর রহমান ঝান্টু প্রমুখ।