তিনি বলেন, ‘১৪ দল গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম এবং খুলনায় তালুকদার আব্দুল খালেককে বিজয়ী করতে একসঙ্গে হয়ে কাজ করবে। যদি কেউ এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকেন তাহলে সময়মতো তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে। একইসঙ্গে ১৪ দল ছোট পরিসরে কমিটি গঠন করে নির্বাচনি এলাকায় কাজ করবে।’
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের নিয়মিত বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘যেহেতু সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগে, তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জয় করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো। বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বারবার উসকে দিতে চেয়েছে। নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রায় দেওয়ার অধিকার। যারা বারবার চেয়েছিল জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল তাদের পরাজিত করতে হবে।’ একইসঙ্গে দেশের উন্নয়নকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য জনগনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ জন প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থান পাওয়ায় ১৪ দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘শুধু শেখ হাসিনাই সম্মানিত হননি, সম্মানিত হয়েছে দেশের মানুষ, দেশের জনগণ। তিনি আমাদের বারবার সম্মানিত করেছেন। দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আজ সাহসী নেতৃত্ব উপাধি পেয়েছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রীর আদালতের মাধ্যমে জেলে গিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমেই তিনি বের হবেন। আমরা চাই তারা আগামী নির্বাচনে আসুক।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের আন্দোলনের হুমকি’র সমালোচনা করে নাসিম বলেন, ‘তাহলে কি আইন আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন? একজন রাজনৈতিক নেতার এধরনের বক্তব্য হতে পারে না। এটা তাদের হীনমন্যতার পরিচয়।’
পরে ১৪ দলের আহ্বায়ক জানান, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ১৪ দলের পক্ষ থেকে এক সমাবেশ করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত কুমার নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ জোটের নেতারা।