দলীয় লোক দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল





মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরনিশ্চিত পরাজয় জেনে সরকার তাদের দলীয় লোক দিয়ে রিট করিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন স্থগিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার একইভাবে ঢাকা সিটি করপোরশন উত্তরের নির্বাচন স্থগিত করেছে। গাজীপুরে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতাম। কিন্তু সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আজাহারুল ইসলাম সুরুজকে দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারী দলের লোক এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনের পরও জনগণ বিএনপির প্রার্থী তথা ধানের শীষের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ তথা সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন স্থগিত করায় আমাদের বিপুল বিজয় হয়েছে আর সরকারের পরাজয় হয়েছে।’
জাতীয় নির্বাচন শঙ্কা আছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব নির্বাচন নিয়েই শঙ্কা আছে। কারণ এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ইসি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা সময়ের দাবি, যেটা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদও বলেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা সবসময়ে মামলা, গ্রেফতার, গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করার পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আটক করা হয়েছে। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে তার মুক্তির দাবি করছি। এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।