কূটনীতিকদের ৫টি বিষয় জানালো বিএনপি

বিএনপি

ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও এর বিচার কার্যক্রম, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বিএনপি।

শনিবার (১২ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকটি দুই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে চলে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লিখিত আকারে কূটনীতিকদের পাঁচটি বিষয়ে অবহিত করে বিএনপি। বক্তব্যের প্রথমেই বলা হয়, সরকার খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির মামলায় সাজা দিলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দেখাতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আদালতকে প্ররোচিত করে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন। তৃতীয়ত, খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানি নিয়ে আদালতে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। চতুর্থত, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ হয়ে আসছে। পঞ্চমত, সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিবেশ তৈরি করা দরকার। তবে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এ ছাড়া, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়া ১শ’ দিনেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেও কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকার তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। খুলনা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাব বিস্তারের কথাও তুলে ধরা হয়।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক উইংয়ের দায়িত্বশীল আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি আমাদের ইন্টারনাল বৈঠক। কূটনীতিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘লিখিত আকারে কূটনীতিকদের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।’

বৈঠকে বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল, জেবা খান। এ ছাড়া, পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউরোপীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।