সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও গেজেট প্রকাশ করছে না সরকার। আমরা সেদিন বলেছিলাম—প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি প্রতারণা ও ধাপ্পাবাজি। আমাদের সেই কথাটিই প্রমাণিত হলো। এই আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলররা সরকারের পেটোয়া বাহিনী হয়ে আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আহ্বান জানাচ্ছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে, পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি আহ্বান জানাচ্ছি, প্রতারণা না করে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন।শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।’
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার চলছে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) বিএনপির পোলিং এজেন্টদের ট্রেনিং দেওয়ার সময় ১০-১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সেখানে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাণ্ডব চলছে।’
রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মী ও ভোটারদের জন্য অঘোষিতভাবে চলছে কারফিউ, আর সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের চলছে ফাঁকা মাঠে উৎসব। ইলেকশন কমিশনের যেন পল্লীগীতির সেই শ্লোকের মতো অবস্থা— ‘বন্ধু, দেখিয়াও দেখলা না/বন্ধু, শুনিয়াও শুনলা না’।
রোজা শুরুর আগেই লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম, দাবি করে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কেজি প্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দামের এই কৃত্রিম বৃদ্ধি। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এসব ব্যাপারে নির্বিকার। কারণ, মানুষের কষ্ট হলেও মুনাফা করছে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা।’