চেইন অব কমান্ড নেই বলেই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ: খন্দকার মোশাররফ




প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভা

চেইন অব কমান্ড নেই বলেই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শনিবার (১৯ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

এসময় খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রী রোজার মধ্যে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেকোনও মূল্যে দাম বৃদ্ধি হতে দেবেন না বলেছিলেন। আজকে রোজার দ্বিতীয় দিন। রোজার আগের মূল্য আর এখনকার মূল্য কত আছে তা দেখলেই বোঝা যায় তারা কতটা ব্যর্থ। তাদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড নেই বলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এটা হচ্ছে, কারণ এই সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গুম, খুন, লুটপাট, টেন্ডারবাজি এবং আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা এমন পরিমাণে দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক ভাবেও তারা স্বৈরাচারের স্বীকৃতি পেয়েছে।’ 

ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হইয়ে গেছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। তাই ব্যংকগুলো আজ দেউলিয়া। এফবিআই-এর তদন্তে এসেছে রিজার্ভ লুট হয়েছে সরকারের লোকজনের সহযোগিতায়। এদেশের শেয়ার মার্কেট ধ্বংস করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন- শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তদন্তে এমন কিছু মানুষের নাম এসেছে তাদের হাত আমার থেকেও লম্বা।’

এই সরকার সব দলকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায় দাবি করে এই বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ‘এদেশের জনগণের ঘাড়ে যেভাবে নির্বাচন ছাড়া একটি স্বৈরাচার সরকার চেপে বসেছে, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন জরুরি। আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সব দলের অংশগ্রহণ জরুরি। যার জন্য আজকে জনগণও চাচ্ছে- আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। এদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব, আমরা দেখেছি। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বলেছিলেন- দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে নির্বাচনের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তা এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। ২০১৪ সালের মতো নির্বাচনের পথে হাঁটলে জনগণ এবার আর সেপথে আর হাঁটবে না।’