‘সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কারে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে’




আলোচনা সভাসংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কারে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তারা বলেছেন, অনির্বাচিত এই সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে মানুষের জীবনকে দুর্দশাগ্রস্ত করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সংগ্রামকে শক্তিশালী করতে জাতীয় ঐক্য জরুরি।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বি.এম.এ. মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে এক সভায় বাম নেতারা এসব কথা বলেন।
সংগঠনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিদ্যমান সংকট ও গণরাজনীতির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি হয়। প্রয়াত নেতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ তার ছবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও গণসংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘জনগণের সামনে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি হাজির করা এখন গণতান্ত্রিক শক্তির সামনে একমাত্র করণীয় কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে রক্ষার কর্মসূচি হাজির না করতে পারলে বাংলাদেশের জনগণকে এই সংকটে আরও বহুকাল কাটাতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ক্রসফায়ারের নামে এই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখিয়ে দেয় আমরা কতটা গণতন্ত্রহীনতার কাল কাটাচ্ছি।’
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আইন-কানুন বর্তমান সরকার তামাশায় পরিণত করেছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল মুক্তিযুদ্ধে আবদুস সালামের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তিনি (আবদুস সালাম) বাংলাদেশের সংবিধানের মাঝেই যে স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতাকাঠামোর উৎস নিহিত আছে, তা তুলে ধরেছিলেন, সেটাকে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের কর্মসূচির অংশ করেছিলেন।’
সভাপতির বক্তব্যে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আজকে যেভাবে নির্বাচনের নামে প্রহসন, ভোট ডাকাতি কিংবা ব্যাংক লুট, উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ চুরি অথবা ব্যাংক খাত লোপাট হচ্ছে তা অদৃষ্টপূর্ব। ফ্যাসিবাদী এই অনির্বাচিত সরকার সম্ভাব্য সব উপায়ে মানুষের জীবনকে দুর্দশাগ্রস্ত করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সংগ্রামকে শক্তিশালী করতে হলে সংবিধানের গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলাই জনগণের সামনে একমাত্র করণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
উল্লেখ্য, আবদুস সালাম গত বছরের ২৬ মে মারা যান। তাকে নিয়ে লিখিত এক রচনায় বলা হয়েছে, আবদুস সালামের অনুসন্ধান আর বোঝাপড়া তাকে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পথ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভেতরে তার শেকড় খুঁজতে অনুপ্রাণিত করেছে।