সরকার নার্ভাস হয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে নেমেছে: খন্দকার মোশাররফ

সরকার নির্বাচনের বছরে এসে নার্ভাস হয়ে মাদক বিরোধী অভিযানে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার নার্ভাস হয়ে গেছে। তার প্রমাণ- এই হঠাৎ করে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করলো, তাও আবার নির্বাচনের বছরে। তাদের দু’টি উদ্দেশ্য। এই মাদক একমাস কিংবা ছয়মাস আগে আসে নাই। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের এমপি, মন্ত্রী ও নেতারা যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে মাদকের অবস্থা আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

শনিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অভিযানের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও চাই মাদক বন্ধ হোক। কিন্তু এই মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে আজকে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যাদের মারা হচ্ছে, তারা যদি সত্যিকারের মাদক ব্যবসায়ী হয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে গডফাদারদের তথ্য অবশ্যই পাওয়া যাবে।’

বিএনপি মাদক বিরোধী অভিযানের বিরোধিতা করে সরকারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, ‘আমরা অভিযানের বিরোধিতা করি না। আমরা পদ্ধতির বিরোধিতা করি। তাদের গ্রেফতার করা হোক। আইনে সোপর্দ করা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গডফাদারদের নাম বের করা হোক। এদেশের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে মাদকের সম্রাট কারা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পর্যন্ত সংসদে বলেছেন- এই পার্লামেন্টেই মাদকের গডফাদার আছে। এদের আজকে ধরা হয় না, ধরা হয় ছোট খাটো যারা মাদক বহন করে। তাদের খুন করা হয়। এর মধ্যে কোনও বাহাদুরি নাই। মূল উৎপাটন করা না গেলে এদেশে মাদক বিরোধী আন্দোলন সফল হবে না।’

সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বাণিজ্য করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই অভিযানের নামে অনেক বাণিজ্য হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এই গণবিরোধী, স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ছাড়া এদেশে গণতন্ত্র পুনরু দ্ধার সম্ভব হবে না।’