নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যদি মুক্তি মেলে তাহলে আইনের কি দরকার আছে? খালেদা জিয়ার মুক্তির ওপর নির্ভর করে আমরা নির্বাচনে যাবো কিনা।’
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মাসের পর মাস নেতাকর্মীদের কারাগারে আবদ্ধ রাখা হচ্ছে। নিম্ন আদালতে জামিন দিতে পারবে না—এই কথাটা বলার জন্য যে শুনানি তার জন্য ৬ মাস-৮ মাস পর তারিখ দেওয়া হয়। শুনানির আগেই আমাদের নেতাকর্মীরা মাসের পর মাস জেল খাটছে। আর নানা ধরনের খরচ তো আছেই। এত নিপীড়ন নির্যাতন তো মুক্তিযুদ্ধের আগেও ছিল না। তারপরেও আমরা লড়াই করেছি, মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কারণ, সেই সময় আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল।’
শেয়ার মার্কেট লুট হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে শেয়ার মার্কেট লুট হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট তৈরিতে দুর্নীতির ছড়াছড়ি। পত্রিকায় ছাপা হয় বাংলাদেশের এক কিমি রাস্তা তৈরি করতে যত ব্যয় হয়, আশপাশের কোনও দেশে এত খরচ হয় না। বাজেট বাড়লেও দুই-চার কোটি টাকা না শত শত কোটি টাকা বাড়ে। সুইস ব্যাংকে লাখ লাখ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এত লেখালেখি হচ্ছে সরকার কেন অনুসন্ধান করে না? কারণ, অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে, যারা টাকা পাঠায় তারা ক্ষমতাসীন দলের লোক।’
নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বৃহত্তর গণতান্ত্রিক আন্দোলন প্রয়োজন। যাদের বয়স আছে, সাহস আছে তারা প্রস্তুতি নিন। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনই আমাদের পথ। এতে আমরা সারাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করবো।’