সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ

সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ

যারা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে উস্কানি দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে খুব শিগগির আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (০৮ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গেও একাত্মতা পোষণ করেন।

আলোচনা সভায় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে সরকার কাজ করছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ২৫-৩০ বছরের যুবকদের স্কুলের ড্রেস পড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় একটি মহল প্রচণ্ড হতাশ। এরা কারা? এরা বিএনপি জামাত ও ১/১১'র কুশীলব। সেই ১/১১'র কুশীলবদের নেতা ছিলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি ১/১১ পরবর্তী সরকারের সময় বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন 'এ সরকার যতদিন ইচ্ছা ততদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে' অর্থাৎ তিনি ১/১১'র কুশীলবদের নেতা ছিলেন।

তিনি বলেন, আগস্ট মাস বাঙালির শোকের মাস। এ বছরও আগস্ট মাসকে ঘিরে কুচক্রীমহল বিএনপি জামায়াত এবং ১/১১-র কুশীলবরা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। এমনকি সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করেও দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা সবাই তাদের সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম এই আন্দোলনে বিভিন্ন বয়সের বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

তিনি বলেন, এখন ১৪ কোটি মানুষের হাতে ক্যামেরা এবং রাস্তায় সিসি ক্যামরা । সুতরাং কোনও কিছুই লুকোনোর সুযোগ নেই। ফলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, ফজলুল হক মিলন, আসিফ নজরুলসহ সবাই কোমলমতিদের উস্কানি দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে। আবার কিছু কিছু অভিনেত্রী এমন অভিনয় করলেন যেন সবকিছু নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন। গুজব রটনাকারী এসব অভিনেত্রীদের পেছনেও কারা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে, যারা পেছন থেকে বাতাস দিয়েছে এবং দিচ্ছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। যেন দেশে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা আর কেউ সৃষ্টি করতে না পারে।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রতন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী এস.ডি রুবেল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।