এই মাটি স্বৈরাচারের জন্য নয়: ড. কামাল হোসেন

ড. কামাল হোসেনগণফোরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন,  যে কেউই হোক না কেন, এই মাটি স্বৈরাচারের জন্য নয়। মঙ্গলবার (১৪ আগষ্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই মাটির মালিক জনগণ, এটা বঙ্গবন্ধুর কথা।
সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের  সকল ক্ষমতার মালিক করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের মালিক করে দিয়ে গেছেন, কেউ বঞ্চিত করতে পারবেনা, গ্যারান্টি দিয়ে আমি বলতে পারি। যদি সংঘবদ্ধ হন, কোনও শক্তি নাই পৃথিবীতে, যেটা আপনাকে বঞ্চিত করতে পারবে।আমি শতভাগ আশাবাদী, এই দেশকে কেউ দাস করে রাখতে পারবে না।’

হাসি মুখে মানুষের মন জয় করে বঙ্গবন্ধু সুস্থ রাজনীতি দেখিয়ে দিয়ে গেছেন বলে জানিয়ে তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগি ড. কামাল হোসেন বলেন, ৭৫ এর পরে ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন। উনাকে তারা হত্যা করে ভেবেছিল বাংলাদেশ শেষ, উনি তার আদর্শকে প্রত্যেক গ্রামেগঞ্জে পৌঁছে দিয়েছিলেন। প্রত্যেক গ্রামে এখনও মাটির মধ্যে, মানুষের মধ্যে বঙ্গবন্ধু আছেন।

নব্বই দশকে সামরিক এরশাদ সরকারের পতনে নিজের ভবিষ্যদ্ববাণী কাজে লেগেছিল বলে দাবি করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন,  ‘নব্বইয়ে আন্দোলনের মধ্যে এরশাদের পতনের ৩ মাস আগে এক ব্রিটিশ মন্ত্রী এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসে বলেছিলেন তোমাদের প্রেসিডেন্ট তো খুব কনফিডেন্ট, সে তো আরও ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে। তখন বলেছিলাম আমি তো ১৫ সপ্তাহও দেখিনা। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার পতন হয়।’

ড. কামাল বলেন, জানুয়ারিতে লন্ডনে গেলে, ওখানে পররাষ্ট্র দফতরে গিয়ে মন্ত্রীর সামনে যেতেই তিনি আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে বলেন – ‘তুমি কিভাবে এরকম ভবিষ্যদ্ববাণী করলে?’ আমি তাকে বললাম দেখো আমাদের একটি মানবিক বৈশিষ্ট্য আছে। অন্যায়ের সামনে আমরা মাথা নত করি না। এটা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে বলেছেন।