ঈদের আগেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি বিএনপির

বিএনপির সংবাদ সম্মেলনপবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকার দেশের রাজনীতিকে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও সংঘাতময় করে তুলেছে। আইনের অপপ্রয়োগ করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে উন্মাদ হয়ে পড়েছে এই সরকার। আমি ঈদের আগেই সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বেগম জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামাজিক গণমাধ্যমে উসকানি ও সহিংসতার মিথ্যা অভিযোগে ৫১টি মামলায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ওই মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে। এই কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তারা মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সমাজের অগ্রগণ্য মানুষরাও বিস্মিত হয়েছেন। তারা যা পারেনি শিশু-কিশোররা চোখে আঙুল দিয়ে সেটা করে দেখিয়েছে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কিত ও ভীত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আটক ও জুলুমের করাল গ্রাস থেকে ছাত্রছাত্রী কেউ রেহাই পাচ্ছে না। গোয়েন্দা পুলিশ একটার পর একটা ছাত্রী আটকের লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এসব ঘটনায় জাতির সম্ভ্রম ধুলায় লুটিয়ে গেলেও সরকারের চণ্ডমূর্তির কোনও পরিবর্তন হয়নি।’

রিজভী আরও বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন দমাতে সরকার শাসনযন্ত্রের যে দমন ক্ষমতা কাজে লাগালেন, তাতে কিছু বেপরোয়া চালকই অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হলেন। আর সেই উৎসাহের বশবর্তী হয়ে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলাচল অব্যাহতই আছে। পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন- জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ের অঙ্গীকার মির্জা ফখরুলের