মেডিক্যাল বোর্ডে ব্যক্তিগত চিকিৎসক না রাখা অশুভ পরিকল্পনা: রিজভী

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদকারাবন্দি খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক না রাখা সরকারের অশুভ পরিকল্পনা বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, মেডিক্যাল বোর্ডে বিএসএমএমইউ -এর চিকিৎসকরাই রয়েছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ডে রাখা হয়নি, যা বিদ্বেষপ্রসূত মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষের মৌখিক বার্তা অনুযায়ী, মেডিক্যাল বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত পাঁচজন চিকিৎসকের নাম দলের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত না করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি শুধু উদ্বিগ্নই নয়, চিকিৎসা না দিয়ে তাকে গুরুতর শারীরিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়ার এটি একটি অশুভ পরিকল্পনা বলে দল মনে করে।’
তিনি জানান, যে সকল চিকিৎসকের নাম বিএনপি সুপারিশ করেছিল তাঁরা অভিজ্ঞ চিকিৎসক। দেশজুড়ে তাদের খ্যাতিও রয়েছে। যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসক হিসেবে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসা দেওয়ায় তারা খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অসুস্থতা সে সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য ডা. আবু জাফর চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি প্রার্থী। তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। অপর সদস্য অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) বিএসএমএমইউ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া অধ্যাপক ডা. তারেক রেজা আলী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। সুতরাং সরকারের গঠিত বোর্ডে মনোনীত চিকিৎসকদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতার চেয়ে সরকারদলীয় আনুগত্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ডের মাধ্যমে যথাযথ চিকিৎসা এবং তাঁর শারীরিক পর্যবেক্ষণ সঠিকভাবে প্রতিফলিত হবে না। কারণ সরকার গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সরকারের নির্দেশ মতোই কাজ করবে।
তিনি জানান, এর আগেও খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল তখন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের ডাকা হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তাদের রাখা হয়নি। এমন কি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।