বিএনপি নেতা সোহেল গ্রেফতার

বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে গুলশান থানা পুলিশ আটক করে। রাত আটটার পরে তাকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইয়েংর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেলকে আটক করে নিয়ে যায় গুলশান থানা পুলিশ। কিন্তু, তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হচ্ছিল না।

রাত আটটার দিকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

একই থানার গুলশান থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দীকও বিষয়টি এড়িয়ে যান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি  জানান, ‘আটকের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।  ডিবি বলতে পারবে তাকে আটক করা হয়েছে কিনা।’

এর আধাঘণ্টা পর ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান  বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাকে ( সোহেল) সুর্নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

এদিকে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থেকে হাবিব উন নবী খান সোহেলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দেশব্যাপী চলমান পাইকারি মামলা-হামলা-গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোহেল বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শুধুমাত্র সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা হয়েছে গত কয়েক বছরে। বেশ কিছু মামলায় জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে ৭০-৮০ মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফা তার বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে বাড়িঘর তছনছ করেছে।

অবিলম্বে তার  মুক্তির দাবিও জানান রিজভী।