ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে আসার পথে নেতাকর্মীদের পুলিশি বাধার অভিযোগ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশজাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের রাজধানীর প্রবেশপথগুলোয় পুলিশি বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আট করা হয়েছে। তবে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বলছে, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট ও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কাউকে হয়রানি বা আটক করা হচ্ছে না।

কেরানীগঞ্জ থেকে আসা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আজমল হোসেন বলেন, ‘আমাদের আসার পথে জায়গায় জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। সমাবেশে যাচ্ছি শুনেই আটকে দেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। আমরা আসতে পেরেছি। একসঙ্গে আসতে দিচ্ছে না। আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না। পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ, চক বাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ এলাকা থেকে জনসভায় যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ আসা নেতাকর্মীদের বাস থামিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ায় অভিযোগ জানান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আকরাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস রাস্তায় থামিয়ে যাত্রীদের নাজেহাল করা হয়েছে। অনেককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট বলেন, ‘গতকাল রাতটা আমাদের নেতাকর্মীদের জন্য ছিল আতঙ্কের। অনেকের বাসায় পুলিশ গেছে। রাতে নিজেদের বাসায় তারা ঘুমাতে পারেননি।’

বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তবে এভাবে ধরে নিয়ে লাভ হবে না। জনগণ এর জবাব দেবে।’

আটক ও তল্লাশির বিষয়ে ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি করা হচ্ছে। কাউকে আটক করা হয়নি।

সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ‘সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ও ৭ দফা দাবি আদায়' করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ জনসভার আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।