নেতাকর্মীতে মুখরিত বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়

গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড়দীর্ঘদিন পর দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে গুলশানে বিএনপির চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা তা জানতে অপেক্ষা করছে দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে সেখানে গেছেন মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা।
শনিবার (১০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা গুলশান কার্যালয়ে আসতে থাকেন। বিকাল সাড়ে ৫ টায় নির্বাচন ও আন্দোলন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বিএনপি তাদের আগামী দিনের করণীয় ঠিক করার জন্য মতামত নিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বৈঠকে বসেন ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বৈঠকটি শেষ হয়। এরপর রাত ৮টায় শুরু হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে জে (অব) মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার (১১ নভেম্বর) এসব বিষয়ে ব্রিফ করবেন।
এদিকে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান কি তা জানতে গুলশানের কার্যালয়ের সামনে বিকাল থেকে অবস্থান করছেন গণমাধ্যমকর্মীরাও। দৈনিক ভোরের কাগজের রিপোর্টার রুমানা জামান বলেন, ‘বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে আজকে তাদের সিদ্ধান্ত জানানো কথা ছিল। এই কারণে বিকাল থেকে এখানে অপেক্ষা করছি। যদিও আমরা এখনও তাদের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও বক্তব্য পাইনি।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিড়িয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও তাদের জোট নির্বাচন নিয়ে উৎসব করে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা এতো নির্যাতন, হামলা-মামলার পরও চেষ্টা করছে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার কার্যালয়কে সরগরম রাখতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করে দলের আগামী দিনের করণীয় সম্পর্কে জানাবেন সিনিয়র নেতারা।’